- Home>
- সুশীল সমাজ >
- অপসংস্কৃতি বন্ধ করা সময় এর দাবী
অপসংস্কৃতি বন্ধ করা সময় এর দাবী
যে সকল নাটক সিনেমা নির্মাতা রা গ্রামীণ সংস্কৃতি নিয়ে নাটক সিনেমা বানাচ্ছেন তাদের বিষয়ে বলতে চাই যে, আপনারা আপনাদের কন্টেন্টে প্রকৃত বিষয়গুলো তুলে ধরবেন। আপনারা ইদানিং নিজেদের ইচ্ছেমত সংস্কৃতির বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছেন।
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে এটার বিরোধিতা করি।
আমার কথা হল আপনারা যদি গ্রামীণ কোন কিছু মানুষের জন্য তুলে ধরতে চান, সেক্ষেত্রে সেগুলি গ্রামীণ সংস্কৃতির সাথে মিল রেখে বানাবেন। আপনারা যদি শহরের কোন কিছু মানুষ কে দেখাতে চান তাহলে সেখানে শহুরে বিষয়গুলি তুলে ধরবেন। একই ভাবে মুক্তিযুদ্ধ কিংবা অন্যকোন পটভূমি নিয়ে কোনো কিছু নির্মাণ করলে সেখানে প্রকৃত বিষয়গুলো তুলে ধরবেন।
ধরেন আপনারা একটা গ্রামের বিষয় নিয়া নাটক বা সিনেমা বানাবেন। তাহলে সেখানে গ্রামীণ সংস্কৃতি গুলো উপস্থাপন করবেন। যেমন গ্রামের একটা মেয়ে কোন সময়ে কেমন জামা কাপড় পড়ে সেগুলি অনুযায়ী শিল্পিদের কস্টিউম পড়াবেন। আমরা দেখতেছি, গ্রামের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করা মেয়েদের ওড়না ছাড়া জামা পরাচ্ছেন। স্কুল ড্রেস পড়িয়ে পার্কে ঘুরাচ্ছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলো কোনোভাবেই গ্রামীন মেয়েদের সংস্কৃতি নয়।
আবার গ্রামের ছেলে বা পুরুষ চরিত্র বোঝাতে কেবল লুঙ্গি গামছা গেঞ্জি পড়া দেখাচ্ছেন। এটাও গ্রামের ছেলেদের প্রকৃত অবস্থা নয়। গ্রামে কেবল ছেলেরা লুঙ্গি গামছা পড়েনা। বরং সকল পোশাকই পড়ে।
আবার গ্রামের বাড়ি মানেই কেবল ভাঙ্গাছোরা কুঁড়েঘর নয়। হ্যাঁ, কুঁড়েঘর যেমন আছে তেমনি আধুনিক কিংবা পাকা ঘর ও রয়েছে।
তারপর দেখি যে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কোন নাটক কিংবা সিনেমায় রাজাকার চরিত্রে আপনারা রাজাকার দের জামাকাপড় বলতে কেবল দাড়ি রাখা, পাঞ্জাবি পড়া কিংবা মাথায় টুপি পড়ানো চরিত্র দেখাচ্ছেন। অথচ আমরা যদি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার কোনো ডকুমেন্টারি দেখি সেখানে দেখি যে, রাজাকার গুলো স্বাভাবিক পোশাকই পড়ত। তাহলে এখন কেন আপনারা রাজাকার বলতে কেবল দাড়ি, টুপি কিংবা পাঞ্জাবি পড়া লোকদের দেখান?
0 comments
আপনার সু-চিন্তিত মতামত জানাবেন।